বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা – কালিকা পুরাণ

অষ্টাশীতিতম অধ্যায় – বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা: ঔৰ্ব বলিলেন,–হে রাজন! জ্যৈষ্ঠ মাসের দশহরায় শ্রীকৃষ্ণের যজ্ঞ শ্রবণ কর। নৃপগণের অবশ্য কর্তব্য বিষ্ণু যজ্ঞের বিধি বর্ণন করিতেছি। ১

পৃথিবীপতি, প্রতিবর্ষে হরির কনকময়ী অন্যধাতুময়ী, দারুময়ী কিংবা শিলাময়ী প্রতিমা নির্মাণ করিবে। ২।

শিল্পিগণের দ্বারা যথা পরিমাণে নিৰ্মাণান্তে বিপ্র এবং পুরোহিতগণ দ্বারা সেই প্রতিমার প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করাইবেন। ৩

প্রতিমাকে দেবগৃহে অবস্থাপিত করিয়া যত্নপূর্বক বাসুদেবের বীজমন্ত্রে এবং পূর্বোক্ত বিধিতে ভক্তিসহকারে মূর্তিমান বাসুদেবের পূজা করিবেন। ৪

পূজান্তে কুণ্ডল মধ্যস্থিত সংস্কৃত বহ্নিতে ব্রাহ্মণ, ঘৃত দ্বারা সহস্রবার আহুতি পূৰ্ব্বক হোম করিবে। ব্রাহ্মণ বাসুদেবের পূজান্তে হোম করিয়া রাজার আজ্ঞানুসারে সেই প্রতিমাকে মণ্ডলে সংস্থাপন করিবেন। ৫-৬

বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা - কালিকা পুরাণ

প্রতিমার কপোলদ্বয় দক্ষিণ পাণিদ্বারা স্পর্শ করিয়া মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিবেন। ৭

বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা – কালিকা পুরাণ

হে নৃপবর! যথাবিধি প্রতিষ্ঠা আচরিত হইলে বিষ্ণুর প্রাণ সকল তৎক্ষণাৎ সেই প্রতিমায় আবির্ভূত হন এবং দেহে প্রাণসমূহ অধিষ্ঠিত হইলে, সেই দেবাদিদেব ভগবানের দেহ হয়। ৮-৯

প্রতিমার প্রাণ প্রতিষ্ঠা না হইলে সেই প্রতিমা যে উপাদানে গঠিত হয়, সেই উপাদানই থাকে, তাহাকে আর বিষ্ণু বলা যায় না। ১০

হে পৃথিবীপতে! এইরূপ অন্য প্রতিমারও দেবত্ব সম্পাদনের নিমিত্ত প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিতে হয়। ১১

প্রাণপ্রতিষ্ঠা ব্যতিরেকে সুবর্ণময়ী প্রতিমা সাধারণ সুবর্ণস্বরূপেই পরিগণিত হয়। শিলা, দারু এবং অন্যপ্রকার প্রতিমাও তত্তদ্রূপেই অবধারিত হয়। ১২

বাসুদেবের বীজমন্ত্রে এবং “তদ্বিষ্ণোঃ” ইত্যাদি মন্ত্রে অঙ্গ এবং অঙ্গিমন্ত্রে বিষ্ণুর প্রাণপ্রতিষ্ঠা আচরণ করিবে। ১৩

মন্ত্রজ্ঞ, দেবমূর্তির বক্ষে অঙ্গুলি নিধানপূৰ্ব্বক উক্ত মন্ত্রে বক্ষদেশেও প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমাপন করিবে। ১৪

“এই প্রতিমাতে প্রাণসমূহ অধিষ্ঠিত হউন। ইহাতেই প্রাণসমূহ অধিষ্ঠিত হউন।” ১৫

প্রতিমূর্তির দেবত্ব সম্পাদনের নিমিত্ত উক্ত মন্ত্র, অঙ্গিমন্ত্র, এবং বৈদিকমন্ত্র উচ্চারণপূর্বক প্রতিমার প্রত্যেক অঙ্গে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করিবে। ১৬

মন্ত্রবিৎ ব্যক্তি পূজাভাগের বিশুদ্ধির নিমিত্ত পূজাকালে অগ্রে আত্ম-প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিবে। ১২

পণ্ডিতগণ আত্মপ্রাণ প্রতিষ্ঠ। না করিয়া পূজা আচরণ করিবে না। বেদ বিরুদ্ধ উক্ত কর্ম করিলে প্রাণহানির সম্ভব। ১৮

হে পৃথিবীপতে! এই বিষ্ণুর প্রিয় যজ্ঞ দশমীতে আচরণ করিবে। এবং প্রাণপ্রতিষ্ঠা পূর্ণ হলে প্রতিমাকে স্থাপন করিবে। ১৯

এই প্রকারে পৃথিবীপতি হরিপ্রিয় যজ্ঞ দশহরায় আচরণ করিয়া নির্বিঘ্নে সকল কামনায় সম্পূর্ণ ফল লাভ করে। ২০

শ্রী পঞ্চমীতে কুন্দপুষ্পদ্বারা প্রতিবৎসর লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করিবে। এবং গজরাজ ঐরাবত-উপরিস্থিত ইন্দ্রদেবকে নানা উপহারে অর্চনা করিবে। ২১

লক্ষ্মীদেবী এবং দেবরাজ ইন্দ্রের তন্ত্র এবং মন্ত্র পূর্বে নির্দেশ করিয়াছি। এই পূজাতেও পূর্ববৎ মণ্ডলাদি ক্রম সংগ্রহ করিবে। ২২

 বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা - কালিকা পুরাণ

এই প্রকারে শ্রীপঞ্চমীতিথিতে বিশেষরূপে শ্রীলক্ষ্মীর পূজা করিয়া সর্ব সম্পৎসম্পন্ন হয় এবং কোনকালেও কমলাদেবী তাহার প্রতি অকরুণ হন না। ২৩

হে পৃথিবীশ্বর! বিশেষ বিশেষ সদাচার তোমার নিকটে বর্ণন করিলাম। নৃপতিগণের বিশেষরূপে নিষিদ্ধ বিষয় বর্ণন করিতেছি। ইহা শ্রবণে রাজা শ্রীমান হন। ২৪

রাজা-বিষ্ণু, শিব, অগ্নি এবং ইন্দ্র প্রভৃতির পূজা না করিয়া এবং যাচকগণের অভিলষিত ধনাদি দান না করিয়া কোন দিনও ভোজন করিবেন না।

পুরোহিত দ্বারা প্রতিদিন অগ্নিহোত্র হোম করাইবেন। অগ্নিহোত্র হোম না করিয়া ভোজন করিসে ঘোরতর নরকে নিবাস করিতে হয়। ২৬

রাজা-রক্ষক এবং রত্নপ্রদীপশূন্য গৃহে কোন কালেও নিদ্রা যাইবেন না, স্ত্রীগণের সহিতও শয়ন করিবেন না। ২৭

অন্নভোজনান্তে বিল্ব এবং আমলকী ফল ভোজন করিবে না, মাষ, মসুর এবং মৃত্তিকা এই সকল বস্তু ভোজনে বুদ্ধিহানি হয়। নিম্ব, আম্রপ্রভৃতি ভোজনে বুদ্ধি বৃদ্ধি হয়। ২৮

যে সকল বস্তু ভোজনে বুদ্ধিক্ষয় হয়, রাজা সেই বস্তু সকল ভোজন করিবেন না এবং বুদ্ধিবৃদ্ধিকর বস্তুসমূহকে প্রতিদিন ভোজন করিবে। ২৯

রাজা আচ্ছাদনহীন আসনে উপবেশন করিবেন না। ৩০

অনুৎসাহপূর্বক অশ্ব গজ রথাদিযানে আরোহণ করিবেন না। রাজা নির্জনস্থানে কদাচ একাকী ভ্রমণ করিবেন না। ৩১

যে সকল বস্তু ভোজনে মত্ততা হয়, এতাদৃশ দ্রব্য কখনও ভোজন করিবেন না। অষ্টমী তিথিতে কদাচ মাংস এবং মৈথুন উপভোগ করিবেন না। ৩২

পৃথিবীপতি, পিতা বর্তমানে গয়াশ্রাদ্ধ, দর্শশ্রাদ্ধ, তিলদ্বারা তৰ্পণ করিবেন না। করিলে পাপভাক হইবেন। ৩৩

ঔরসপুত্র বর্তমান থাকিতে ক্ষেত্ৰজাত পুত্রকে পিতৃঋণ মোচনের নিমিত্ত রাজ্যে অভিষিক্ত করিবে না। ৩৪

ঔরস, ক্ষেত্ৰজাত, দত্তক, কৃত্রিম, গূঢ়োৎপন্ন এবং অপবিদ্ধ পূত্র পৈতৃকধনের ভাগাধিকারী। ৩৫

কানীন, সহোঢ়, ক্রীত, পৌনর্ভব, স্বয়ংদত্ত, পোষ্য এই ছয় পুত্র নিন্দিত। ৩৬

ঔরসাদি পূৰ্বনিরূপিত পুত্রের অভাবে কানীনাদি পশ্চাদুক্ত পুত্রকে অভিষিক্ত করিবে। পৌনৰ্ভব, স্বয়ংদত্ত এবং দাসপুত্রকে রাজ্যে অভিষিক্ত করিবে না। ৩৭

অন্যের ঔরসে উৎপন্ন দত্তক প্রভৃতি পুত্র সংস্কার দ্বারা নিজ গোত্রের অন্তর্গত করিলে পুত্ৰত প্রাপ্ত হয়। ৩৮

হে পৃথিবীপতে! চূড়াকরণাদি সংস্কার যদি নিজ গোত্রে করা যায়, তাহ হইলে দত্তকাদি পুত্র রূপে পরিগণিত হয়, অন্যথা দাসরূপে উল্লিখিত হয়। ৩৯-৪o

হে রাজন! দত্তপুত্রও যদি পঞ্চম বৎসর বয়ঃক্রমে গৃহীত হয়, তাহা হইলে পুত্ররূপে পরিগণিত হইতে পারে এবং পঞ্চমবৎসর সময়ে ঐ পুত্রকে গ্রহণ করত প্রথমে পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করিবেন। ৪১

পৌনৰ্ভবপুত্র জাতমাত্রে আনয়ন করিয়া পৌনৰ্ভবষ্টোম যজ্ঞ প্রথমে করিবে। ৪২

তদনন্তর জাতকৰ্ম্মাণি সংস্কারসমূহ আচরণ করবে। পৌনৰ্ভবষ্টোম যজ্ঞ আচরিত হইলে পৌনৰ্ভব পুত্র হয়। ৪৩

 বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা - কালিকা পুরাণ

কিন্তু পাৰ্বণাদি শ্রাদ্ধ করিবার অধিকার তাহার হয় না। মূল্য দ্বারা যে পত্নীরূপে পরিগণিত হয়, তাহাকে দাসী বলা যায়। ৪৪

তাহার গর্ভে যে পুত্র জন্মে সেই দাসীপুত্র সে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হইবে না এবং শ্রাদ্ধাদি বেদবিহিত কাৰ্য্যে তাহার ক্ষমতা থাকবে না। সকল পুত্রের মধ্যে সেই অধম, তাহাকে কোন কাৰ্য্যে গ্রহণ করিবে না। ৪৫

রাজা বিধিপধ উল্লঙ্ঘনপূর্বক শূদ্রকে পুরাণ ধৰ্মশাস্ত্র এবং মুনিগণনির্দিষ্ট ষট সংহিতা অধ্যয়ন করিতে বারণ করিবেন। ৪৬

যে রাজার সাম্রাজ্যে শূদ্ৰজাতি নিরন্তর পুরাণসংহিতাদি পাঠ করে, উক্ত পাপে রাজা, বংশ এবং রাজ্যমণ্ডলের সহিত হতায়ু হন। ৪৭

শূদ্ৰজাতি অজ্ঞানবশত অথবা ইচ্ছাপূর্বক যদ্যপি পুরাণসংহিতা কিংবা স্মৃতি অধ্যয়ন করে, তাহা হইলে পরলোকগামী পিতৃগণের সহিত কুম্ভীপাক নরকে অবস্থিতি করে। ৪৮

শূদ্রগণের উচ্চারণীয় যে সকল মন্ত্র বিহিত হইয়াছে, সে মন্ত্র শূদ্র স্বয়ং উচ্চারণ না করিয়া ব্রাহ্মণমূখে শ্রবণানন্তর উচ্চারণ করিবে। ৪৯

রাজা শূদ্রকে ব্যবহার-দর্শনে (ধৰ্মাধৰ্ম্ম বিচারে) নিযুক্ত করিলে উক্ত পাপে তামিস্র নরকে নিপতিত হয় এবং প্রজাগণ উক্ত পাপে হতায়ু হয়। রাজার বংশীয় সকলেও অল্পায়ু হয়। ৫০-৫১

রাজা,–অন্ধ, বিকলাঙ্গ, পুত্রহীন, অনভিজ্ঞ, অজিতেন্দ্রিয়, হ্রস্বাকৃতি এবং ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিকে পুরোহিত করিবেন না। ৫২

রাজা কৃপণ ব্যক্তির ধন গ্রহণ করিবেন না। ব্ৰহ্মস্ব হরণ এবং লোভপর তন্ত্রতায় নিয়মিত অপেক্ষা অধিক কর গ্রহণ করিবেন না। ৫৩

কামুক এবং মত্ত মাতঙ্গে রাজা আরোহণ করিবেন না। আরোহণ করিলে উভয়লোকেই অতিশয় কষ্ট অনুভব করেন। ৫৪-৫৫

যে কর্ম আচরণ করিলে আয়ুঃক্ষয় হয়, তাদৃশ কর্ম কদাচ করিবেন না। সকল ধনের দ্বারা আয়ুষ্কর কাৰ্য্য করিবেন। ৫৬

হে নৃপবর! মঙ্গাদি ক্রবার অষ্টমী এবং ষষ্ঠী তিথিতে অঞ্জন গ্রহণ এবং তাম্বুল ভোজন করিবেন না। ৫৭

রাজা, চন্দ্র এবং সূর্যের অল্পপরিমাণে কিংবা সম্পূর্ণভাবেই হউক স্বয়ং গ্রহণ দর্শন করিবেন না। ৫৮

নৃপতি, স্বর্গ, পৃথিবী এবং আকাশ প্রভৃতিতে যে কোন উৎপাত হউক, স্বয়ং দর্শন করিবেন না। কারণবশত দর্শন করিলে দিনত্রয় উপবাস করিবেন। ৫১

নিরন্তর দূৰ্বার সহিত মঙ্গলকর রত্ন ধারণ করিবেন এবং বস্ত্রাদি দ্বারা অনাবৃত অঙ্গ ব্রাহ্মণগণকে দর্শন করাইবেন না। ৬০

জলে প্রতিবিম্বিত নিজ মুখ দর্শন করিবেন না এবং পূর্ণিমা অমাবস্যায় মাংস ভোজন করিবেন না। খর এবং উষ্ট্রযানে এবং গর্ভবতী অশ্বে আরোহণ করিবেন না। ৬১

এই প্রকারে রাজা সর্বদা নীতিপথের অনুসরণে চতুৰ্বর্গ ফল ভোগ করেন। ৬২

বীর্যক্ষয়কর ভক্ষ্য, ভোজ্য, পানীয় এবং ক্ষার, শাকাদি, বহু অম্ল ও তিক্তকর দ্রব্য রাজা পরিত্যাগ করিবেন। ৬৩

আয়ুঃক্ষয়কর কাংস্য রজত রঙ্গনির্মিত পাত্রস্থিত মূত্রবৃদ্ধিকর শুক্রনাশক জলপান করিবেন না। ৬৪

তাম্র লৌহ অথবা শীসপাত্রস্থিত জল এবং মাংসবৃদ্ধিকর শুক্রবর্ধক জল পান করিবেন। ৬৫

সর্বদা সদাচারে আত্মরক্ষণপূর্বক ইহলোকে অতুল ঐশ্বর্যের ঈশ্বর হইয়া পরলোকে ইন্দ্রপুরে অবস্থান করেন। ৬৬

মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–এইরূপে ঔৰ্বমুনি সগররাজাকে নীতিশাস্ত্র বিজ্ঞাত করাইলেন এবং শাস্ত্রসমূহ সুগোপ্য সদাচার সকল বিশেষরূপে বর্ণন করিলেন। ৬৭

পূর্বে ঔৰ্বমুনি সগরের সমীপে যাহা কীৰ্ত্তন করেন নাই, এরূপ রাজনীতি ছিল না। ৬৮

সগরও সংহিতা পুরাণ এবং আগমসমূহ-নির্দিষ্ট-সারবিষয় এবং অন্যান্য শাস্ত্রান্তরসমূহ শ্রবণ করিয়াছিলেন। ৬৯

হে দ্বিজবরগণ! আমি পূৰ্বে বিষ্ণুধৰ্মোত্তরনামক অতি-সুগোপ্য গ্রন্থে উক্ত শাস্ত্রসমূহের বিষয় অল্পপরিমাণে বর্ণন করিয়াছি; এবং গ্রন্থান্তরে যে বিষয়ে বর্ণিত হইয়াছে। ৭০

 বিষ্ণুযজ্ঞ কালিকা - কালিকা পুরাণ

রাজনীতি বেদ-বেদাঙ্গ-সঙ্গত সদাচারসমূহ এবং সুগোপ্য বিষ্ণু দর্শন প্রভৃতিও উক্ত পুস্তকে বিশেষরূপে বর্ণন করিয়াছি। ৭১

হে দ্বিজগণ! সেই সকল বিষয়ের সংশয়চ্ছেদক প্রবন্ধ তোমাদের নিকট বর্ণন করিলাম। ৭২

ইহা কালিকাপুরাণ অনুক্তি-হেতু উৎপন্ন সংশয় নাশ করে এবং এই পুরাণ যে ব্রাহ্মণ অভ্যাস করে, সে বেদাধ্যয়নের ফলভোগী হয়। ৭৩

অষ্টাশীতিতম অধ্যায় সমাপ্ত। ৮৮

আরও পড়ুনঃ

ত্রিপুরার মন্ত্র রহস্য – কালিকা পুরাণ
কালিকা পুরাণ

Leave a Comment