আপনি কি Durga Thakur Photo বা দুর্গা ঠাকুরের ছবি ডাউনলোড করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না? এখানে আপনি ঝামেলা ছাড়াই সহজে দূর্গাপূজার ছবি এবং Durga Thakur Images Collection পাবেন।
Table of Contents
দুর্গা ঠাকুরের ছবি
দেবী দুর্গার অর্থ ও পরিচয়
দুর্গা (दुर्गा) শব্দের অর্থ হলো যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন এবং যিনি দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। তিনি দেবী পার্বতীর উগ্র রূপ এবং হিন্দুধর্মে মহাশক্তির প্রতীক হিসেবে পূজিত।
তার অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে — চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী, নারায়ণী, মহামায়া ও কাত্যায়নী।
দেবী দুর্গার বিভিন্ন ভুজবিশিষ্ট রূপ প্রচলিত — অষ্টাদশভুজা, ষোড়শভুজা, দশভুজা, অষ্টভুজা এবং চতুর্ভুজা। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় রূপ হলো দশভুজা দুর্গা। তার বাহন সাধারণত সিংহ (কিছু মতে বাঘ)। মহিষাসুরমর্দিনী রূপে তাকে অসুর মহিষাসুরকে বধ করতে দেখা যায়। দুর্গার বহু রূপের মধ্যে কালী রূপটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
মা দুর্গা ও তাঁর মাহাত্ম্য
হিন্দুধর্মে মা দুর্গা পরমা প্রকৃতি ও সৃষ্টির আদি কারণ হিসেবে বিবেচিত। তিনি শিবের পত্নী, পার্বতীর উগ্র রূপ, কার্তিক ও গণেশের জননী এবং কালী রূপের আরেক প্রকাশ।
বাংলা মঙ্গলকাব্যে ও আগমনী গানে দুর্গাকে দেখা যায় পিতৃগৃহে সপরিবার অবস্থানের আনন্দময় দিনগুলিতে। দেবতাদের অনুরোধে দেবী পার্বতীই অসুর দুর্গমকে বধ করেন এবং তখন থেকেই তিনি দুর্গা নামে অভিহিত হন।
দুর্গা পূজা ও এর বিস্তার
দেবী দুর্গার আরাধনা মূলত বাংলা, অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত। ভারতের অন্যান্য স্থানে এটি নবরাত্রি উৎসব নামে পালিত হয়।
বছরে দুইবার দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয় —
-
শারদীয়া দুর্গাপূজা (আশ্বিন মাসে),
-
বাসন্তী দুর্গাপূজা (চৈত্র মাসে)।
ঐতিহাসিকভাবে ধারণা করা হয়, দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে বাংলায় দুর্গোৎসব প্রচলিত হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, রাজশাহীর তাহিরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রথম মহাআড়ম্বরে শারদীয়া দুর্গাপূজার সূচনা করেছিলেন।
দেবী দুর্গা ও পৌরাণিক কাহিনি
বিভিন্ন পুরাণে দেবী দুর্গার কাহিনি পাওয়া যায় — কূর্ম, মৎস, বরাহ, দেবী ভাগবত পুরাণে বলা হয়েছে, অসুর দুর্গম চতুর্বেদ দখল করে সৃষ্টির ভারসাম্য নষ্ট করলে দেবী পার্বতী দশভুজা রূপে আবির্ভূত হন। তিনি দুর্গমকে শূলাঘাতে বধ করেন এবং চার বেদ উদ্ধার করেন।
মহাযুদ্ধের বিবরণ
বিন্দ্যাচলে দশদিন ব্যাপী যুদ্ধে দুর্গা অসুর দুর্গম ও তার কোটি সৈন্যকে নিধন করেন। শেষে দুর্গমকে জ্ঞান দান করে তিনি জানান — দেবীই পরমশক্তি, আর ব্রহ্মা সৃষ্টির, বিষ্ণু পালন ও রুদ্র সংহারের শক্তি পান দেবীর মাধ্যমেই।
এই কারণে দুর্গাকে বলা হয় সর্বমন্ত্রময়ী, মহিষমর্দিনী ও দুর্গতিনাশিনী। ভাবপ্রবণ বাঙালি তাই মহিষমর্দিনী চণ্ডী ও দুর্গাকে এক মূর্তিতে প্রতিষ্ঠা করেছে।
মা দুর্গা ঠাকুরের ছবি: