Site icon Sanatan Gurukul [ সনাতন গুরুকুল ] GOLN

শিব দেব

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় শিব দেব

শিব দেব

 

 

শিবের পরিচয়

ঈশ্বর যে দেবতা রূপে ধ্বংস করেন, তাঁর নাম শিব। প্রকৃতপক্ষে শিব মঙ্গলের দেবতা। মঙ্গলের জন্যই তিনি ধ্বংস করেন।
বেদে সরাসরি শিবের উল্লেখ না থাকলেও শিবের অনুরূপ একজন দেবতার উল্লেখ আছে, তাঁর নাম রুদ্র। রুদ্র শত্রুপক্ষের বীরদের বিনাশ করেন, তিনি রোগ-ব্যাধি দূর করেন। তাঁকে শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক বলা হয়েছে। পুরাণে শিবকে মহাদেব বলা হয়েছে। শিব ত্রিমূর্তির অন্যতম। লৌকিক দেবতারূপে শিবের পূজা প্রচলিত আছে।

শিবের রূপ

শিবের গায়ের রং তুষারের মত সাদা। তাঁর মাথায় জটা আছে। শিবের তিনটি চোখ । একটি চোখ ঠিক কপালের মাঝখানে। তাঁর মাথার একপাশে একটা বাঁকা চাঁদ রয়েছে। শিবের হাতে থাকে ডমরু ও শিঙ্গা নামক বাদ্যযন্ত্র এবং ত্রিশূল নামক অস্ত্র। তাঁর গলায় থাকে রুদ্রাক্ষের মালা। এ ছাড়াও সর্প তাঁর ভূষণ বা অলংকার । শিবের বাহন বৃষ শিবের অনেক নাম । যেমন- মহাদেব, ত্রিপুরারি, ভোলানাথ, বৈদ্যনাথ, নীলকণ্ঠ, আশুতোষ (অর্থাৎ যিনি অল্পে তুষ্ট হন), ইত্যাদি।

শিব পূজার সময়

শিব পঞ্চ দেবতার অন্যতম। সকল দেবতার পূজার সময় শিবের পূজা করা হয়। তবে বিশেষভাবে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ঘটা করে শিবের পূজা করা হয়। এ তিথিকে শিবচতুর্দশী তিথি বলা হয়।

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

শিবের মাহাত্ম্য

শিব সৃষ্টিকে সংহার করেন। সংহারের পর আবার নতুন সৃষ্টি হয় । শিব মঙ্গল করেন। শিব শব্দটির মানেই মঙ্গল। তিনি অনেক মহৎ কাজ করেছেন। তিনি নাট্য ও নৃত্যে পারদর্শী এবং শিক্ষক। এ জন্য তাঁকে নটরাজ বলা হয়। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রেও দক্ষ। তাই তাঁকে বৈদ্যনাথও বলা হয় । তিনি গজাসুরকে বধ করে তার চর্মকে পরিধেয় করেছেন। দেবতা ও দৈত্যরা একত্র হয়ে যখন সমুদ্র মন্থন করেছিলেন, তখন প্রথমে বিষ ওঠে।

এই বিষ তিনি চুমুক দিয়ে পান করে কণ্ঠে বা গলায় রেখে দেন। এ জন্যে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়। তাই তাঁর এক নাম নীলকণ্ঠ। তিনি দক্ষের যজ্ঞ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। মহাভারতের কিরাত নামক আদিবাসীর বেশে তিনি অর্জুনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অর্জুনের বীরত্ব পরীক্ষা করেছিলেন এবং অর্জুনকে অস্ত্র দিয়েছিলেন। শিবপুরাণসহ অনেক পুরাণে শিবের মাহাত্ম্যের বর্ণনা আছে।

পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে ভক্তেরা শিবের পূজা করেন। শিবের উপাসকদের শৈব বলা হয় ।

সারাংশ

 

 

ঈশ্বর মঙ্গলের জন্য ধ্বংসও করেন। তিনি যে দেবতা রূপে ধ্বংস করেন তাঁর নাম শিব। বেদে শিবের উল্লেখ না থাকলেও অনুরূপ একজন দেবতা আছেন। তাঁর নাম রুদ্র। শিব লৌকিক দেবতা রূপেও পূজিত। শিবের বাহন বৃষ। সকল দেবতার পূজার সময় শিবের পূজা করা হয়। এছাড়া বিশেষভাবে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবের পূজা করা হয়। পুরাণে শিবের রূপ ও মাহাত্ম্যের বর্ণনা আছে। শিবের উপাসকদের শৈব বলা হয়।

আরও দেখুন :

Exit mobile version