Site icon Sanatan Gurukul [ সনাতন গুরুকুল ] GOLN

মাদকাসক্তি নীতিজ্ঞান

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় মাদকাসক্তি নীতিজ্ঞান

মাদকাসক্তি নীতিজ্ঞান

 

 

‘মাদক’ বলতে বোঝায় নেশার বস্তু। আমরা যে সকল জিনিস জীবন রক্ষার জন্য খাই তাকে বলে খাদ্য। যে সকল জিনিস পান করি, তাকে বলে পানীয়। খাদ্য ও পানীয়, না হলে আমরা বাঁচতে পারি না। এমন কিছু জিনিস বা দ্রব্য আছে যা মাদক। যেমন : আফিম, গাঁজা, তামাক, মদ, হেরোইন, মরফিন, প্যাথেড্রিন, কোডিন, ফেনসিডিল ইত্যাদি।

এগুলো কিছু কিছু ঔষধ তৈরির উপাদান হিসেবে কাজে লাগে। এগুলো জীবন রক্ষার জন্য সরাসরি কাজে লাগে না। সরাসরি খেলে বা পান করলে বা শরীরে গ্রহণ করলে এক ধরনের নেশা হয়, ঝিমুনি আসে। এগুলোকে বলা হয় মাদকদ্রব্য। মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি বা লিপ্সাকে মাদকাসক্তি বলা হয়। জীবনের ক্ষতি করে।

মাদকদ্রব্য সরাসরি শরীরের জন্যে বা জীবন রক্ষার জন্যে কোন কাজে তো লাগেই না বরং এগুলো মাদকাসক্তি একটি বদভ্যাস। মাদকাসক্তি বলতে মাদক দ্রব্যের ওপর নির্ভরশীলতা বা মাদকদ্রব্য দ্বারা নেশা সৃষ্টি হওয়া বোঝায় । মাদকাসক্তি দৈহিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি সাধন করে।

দৈহিক ক্ষতি

মাদকাসক্ত হলে:

মানসিক ক্ষতি

মাদকাসক্ত হলে:

আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি

মাদকাসক্ত হলে:

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ধর্মগ্রন্থসমূহে মাদকাসক্তি সম্পর্কে বক্তব্য ও দৃষ্টান্ত

মনুসংহিতার একাদশ অধ্যায়ে সুরাপানকে পঞ্চ মহাপাতকের অন্যতম বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ সকল পাপ যারা করে, তাদের সাথে এক বছর মেলামেশা করলেও একই রকম পাপ হয়। আরও বলা হয়েছে সুরা পান করলে দাঁত কালো হয়ে যায়। সুরা পান প্রভৃতি পাপ করলে নিন্দনীয় লক্ষণযুক্ত হয়ে বা পশুকুলে জন্মগ্রহণ করতে হয়। এ বিষয়ে পদ্মপুরাণেও একই রকম কথা বলা হয়েছে।

মহাভারতেও সুরাপানের নিন্দা করা হয়েছে। মৌষল পর্বে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সুরা পানই যদুবংশের ধ্বংসের কারণ। সুরা পান করে মত্ত অবস্থায় ছিল বলে জগাই-মাধাই প্রভু নিত্যানন্দকে প্রহার করেছিল। তাও আবার মদ রাখার কলসির কানা দিয়ে।
মাদকদ্রব্য সেবনের দ্বারা ইন্দ্রিয় উত্তেজিত হয়।

ইন্দ্রিয় উত্তেজিত হলে সংযম থাকে না। সংযম না থাকলে ধর্মহানি ঘটে। সুতরাং মাদকাসক্তি সব দিক থেকে ধর্ম ও নীতিবিরুদ্ধ কাজ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

মাদকাসক্তির প্রতিকার

মাদকাসক্তি প্রতিকারের অযোগ্য নয়। মাদকাসক্তির নিন্দনীয়, তা বলে মাদকাসক্তকে ঘৃণা করা ঠিক নয় । আমরা পাপকে ঘৃণা করব, পাপীকে নয়। তাই আমরা সহানুভূতির সাথে মাদকাসক্তদের দেখব এবং তাদের নিরাময়ের ব্যবস্থা করব।
মাদকাসক্তির প্রতিকারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে :

মাদকাসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি। এর দূরীকরণ জাতীয়ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যে সরকার ও জনগণকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সচেতন থাকতে হবে।

সারাংশ

 

 

ধূমপান, মদ্যপান, হেরোইন সেবন, শরীরে কোন মাদকদ্রব্য গ্রহণের নেশা বা আসক্তিকে মাদকাসক্তি বলে। মাদকাসক্তি ধর্ম ও নীতিবিরুদ্ধ। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক | ক্ষতি করে। ধর্মগ্রন্থেও মাদকাসক্তির নিন্দা করা হয়েছে। মাদকাসক্তির প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন ।

আরও দেখুন :

Exit mobile version